স্বামী ও ছোট বোনকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা; অতঃপর ধোলাই (ভিডিও)

স্বামী ও ছোট বোনকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা
স্বামী ও ছোট বোনকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা

স্বামী ও ছোট বোনকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা


আসানসোলের বার্নপুরের পৌরসভায় কাজ করেন আরতি দাশ। তার স্বামী রতন দাশ ব্যস্ত থাকেন জমির দালালি নিয়েই। এটাই তার আয়ের একমাত্র মাধ্যম। আর পনেরো বছরের ছোট বোন বাড়িতেই থাকেন। নিঃসন্তান আরতি তার ছোট বোনকে নিজের মেয়ের মতোই ভালোবাসেন। তাই বাবা-মা মারা যাওয়ার পর নিজের কাছেই এনে রেখেছেন তাকে। স্বামী রতন দাশ ও ছোট বোন মাধবী দাশের বয়সের ব্যবধান ২৫ বছর। তাই তাদের নিয়ে কখনোও সন্দেহের বিন্দুমাত্র জাগেনি আরতির মনে।

ইদানিং স্বামী রতন দাশকে ঠিক চিনতে পারেন না আরতি। তারমধ্যে কেমন একটা অদ্ভুত পরিবর্তন। যাকে ঘর থেকে বলেও বের করা যায় না, সেই রতন কিনা সকাল সকাল সেজেগুজে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। আবার দুদিন আগে গার্লস স্কুলের সামনে অসময়ে দাড়িতে থাকতে দেখেছেন আরতি। তাই কেমন জানি একটা সন্দেহ ভর করে তার মনে। একদিন তার পিছু নেয়ার চিন্তা করেন আরতি।

যেই কথা সেই কাজ। পরদিন সকাল সকাল আরতি প্রস্তুত হয়ে থাকেন। রতন না খেয়েই তড়িগরি করে ঘর থেকে বের হয়ে যান। পেছন পেছন বের হন আরতিও। রতন জোরে হেটে পাড়ার গার্লস স্কুলের দিকে যাচ্ছেন। আরতি যখন ঐ স্কুলের সামনে পৌছান ততক্ষনে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। অনেক দূর থেকে একটু দেখতে পান, রতন ঐ স্কুলের কোনো একটা মেয়েকে নিয়ে অটোতে চড়ে কোথায় যেনো যাচ্ছে। খটকা লাগে আরতির। সেও নিজের স্কুটিটা রাস্তার পাশে রেখে একটা অটো নিয়ে তার পেছনে যান কিন্তু রতনের অটোটি আর খুজে পাননা।

আরতি হাল ছাড়ার লোক না। কয়েক মুহূর্তের জন্য দেখলেও তার স্বামীর অটোর নাম্বার মুখস্ত করে ফেলেছিলেন। সেই নাম্বারের অটো খুজতে শুরু করেন সম্ভাব্য স্থানগুলোতে। অনেকক্ষন খোজার পর মিলে যায় সেই অটোবাইকটি। এর চালকের কাছে জানতে পারেন, রতন বার্নপুর রোডে পুলিশ লাইন এলাকায় ‘লক্ষি বিলাস’ নামের একটি হোটেলে উঠেছেন। সেই হোটেলে হানা দেন আরতি।

হোটেলের ৬০১ নাম্বার রুমে ঢুকেই চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় আরতির। যা দেখছেন তা বিশ্বাস করতে পারছেন না। তার মেয়ের মতো ছোট বোন আর তার লম্পট স্বামী, দুজনেই কাপড় বিহীন আপত্তিকর অবস্থায় বিছানার উপর। নিজেকে সামলাতে পারেননি তিনি। হাতে থাকা হেলমেট দিয়ে ইচ্ছে মতো পেটান স্বামী এবং বোনকে। রতন পালিয়ে যেতে চাইলে হোটেল বয়দের সহায়তায় রুমে আটকে পুলিশে ফোন করেন আরতি। পুলিশ এসে রতন ও মাধবীকে তাদের হেফাজতে নেয়।

আসানসোল পুলিশ হাঙ্গামা২৪-কে জানায়, আরতি দাশের ফোন পেয়ে তারা ঐ হোটেল থেকে নগ্ন অবস্থায় আটক করে রতন ও মাধবীকে। গত বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) এমনই দৃশ্যের সাক্ষী হলেন আসানসোলবাসী। এ ঘটনার ভিডিও করে ছেড়ে দেয় হোটেল বয়দের মধ্যে একজন। যা রিতীমতো ভাইরাল।

ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ রতন ও মাধবীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। আর পেছন থেকে হেলমেট দিয়ে মাধবীকে পেটাচ্ছেন আরতি। এরপর চুল ধরে রাস্তায় ফেলেও পেটাতে দেখা যায়। এমনকি থানায় ঢুকেও মারধর করেন আরতি। পরে তাঁরা দুজনেই জামিনে মুক্তি পান।




হাঙ্গামা২৪
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url