Prosenjit : খাবার না পেয়ে মোদি-মমতাকে চিঠি দিলেন প্রসেনজিৎ

মোদি-মমতাকে চিঠি দিলেন প্রসেনজিৎ
মোদি-মমতাকে চিঠি দিলেন প্রসেনজিৎ

খাবার না পেয়ে মোদি-মমতাকে চিঠি দিলেন প্রসেনজিৎ


‘গড অফ টালিউড’। এই খেতাব যার নামের আগে ব্যবহৃত হয় তিনি হচ্ছেন টালিগঞ্জের প্রধান নায়ক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। টালিউডের সব অভিনেতা অভিনেত্রীই তাকে ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রি’ বলে সম্মানসূচক সম্বোধন করেন। ভারতীয় বাংলা সিনেমার রাজ সিংহাসন দখল করা অভিনেতাই এবার খাবার না পেয়ে চিঠি লিখলেন ভারতের কেন্দ্রীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে!

ইন্টারনেট নির্ভর পৃথিবীতে বর্তমানে সবাই কমবেশি অনলাইনে খাবার অর্ডার করে থাকে। তেমনি প্রসেনজিৎও একটি অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার কাছে খাবার অর্ডার করেছিলেন। কিন্তু তার কপালে সে খাবার জোটেনি। না খেয়েই কাটাতে হয়েছে তাকে। আর তাতেই চটেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা প্রজেনজিৎ।

অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার আচরনে যথেষ্ট বিরক্ত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টও করেছেন এই তারকা অভিনেতা। তিনি ওই পোস্টের মাধ্যমে খোলা চিঠি লেখেন নরেন্দ্র মোদি ও মমতা ব্যানার্জির উদ্দেশ্যে। 

প্রসেনজিৎ তার ঐ খোলা চিঠিতে মোদি ও মমতাকে প্রথমে চলতি উৎসবের মওসুমের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তারপর ওই অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে তারা যে ব্যবহার করেছে তা জানিয়েছেন। 

‘গড অফ টালিউড’খ্যাত প্রসেনজিৎ তার পোস্টে জানিয়েছেন, গত ৩ নভেম্বর ওই সংস্থার কাছে কিছু খাবারের অর্ডার দিয়েছিলেন তিনি। অল্প কিছুক্ষণ বাদেই তিনি সংস্থাটির এপে খেয়াল করেন তার দেয়া অর্ডারটি ‘ডেলিভার্ড’ দেখাচ্ছে! অথচ তখনও তার কাছে এসে খাবার পৌঁছায়নি। তিনি তখনই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানান। প্রসেনজিৎ প্রিপেড অর্ডার দিয়েছিলেন অর্থ্যাৎ অর্ডার দেয়ার সময়ই অনলাইনে মূল্য পরিশোধ করেছেন। তার সঙ্গে ঘটা এমন সমস্যা শুনে সংস্থাটি তার টাকা রিফান্ড করে দেয় অর্থাৎ ফেরত দেয়।

তিনি আরো জানান, এমন ঘটনা অন্য কারো সঙ্গেও ঘটতে পারে। তারপর তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, বাড়িতে আসা অতিথিদের জন্য খাবার অর্ডার করে যদি কেউ এমন একটি অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার ওপর নির্ভর করে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকেন এবং শেষ পর্যন্ত খাবার না পান, তখন কেমন দাঁড়ায় বিষয়টা? কেউ যদি ডিনার অর্ডার করে শেষ পর্যন্ত তা না পান, তাহলে কেমন হবে? তারা কি সারা রাত ক্ষুধা সহ্য করেই বসে থাকবেন? এ ধরনের নানা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, যা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়। তাই প্রসেনজিৎ মনে করেন, এমন অপ্রিতীকর বিষয়টি সবাইকে জানানো জরুরি। তাই তিনি টুইটারে টুইট করে তা জানিয়েছেন।

ওই টুইটের প্রসঙ্গে তিনি হাঙ্গামা২৪-কে জানান, তার কারো ওপর কোনো ক্ষোভ নেই। এমন ঘটনার পরেও ওই একই অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা থেকে খাবার আনিয়েছেন তিনি। প্রসেনজিৎ জানিয়েছেন, ব্যক্তিগতভাবে তিনি কলকাতায় খাবার ও ওষুধের অনলাইন সংস্থাগুলো চালু হওয়ার সময় থেকেই সাগ্রহে তাদের গ্রহণ করেছেন। এই অনলাইন সিস্টেমের প্রশংসাও করেছেন তিনি।

তবে তিনি যা বলতে চেয়েছেন তা হলো, মানুষ একান্ত জরুরি না হলে অনলাইনে কেউ ওষুধ বা খাবারের অর্ডার দেন না। জামা-কাপড়ের মতো পণ্য নির্ধারিত সময়ের পরে এলেও তেমন ক্ষতি হয় না। কিন্তু খাবার বা ওষুধের বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। তা সময়মত গ্রাহকের হাতে না পৌঁছলে খুবই অসুবিধা পড়ে মানুষ। তাই যারা এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তারা যেন একটু দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজটা করেন।

হাঙ্গামা২৪
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url