Jaya Ahsan : হাতির মাথায় গুলি; রক্ষা পাবেন না জয়া আহসান!

হাতির মাথায় গুলি; রক্ষা পাবেন না জয়া আহসান
হাতির মাথায় গুলি; রক্ষা পাবেন না জয়া আহসান

হাতির মাথায় গুলি; রক্ষা পাবেন না জয়া আহসান!


মানবসভ্যতার টিকে থাকার লড়াইয়ে প্রকৃতি ও পরিবেশের ভূমিকা অন্যতম। অথচ নির্বোধ মানুষ তাদের অজ্ঞতার খেয়ালে প্রতিনিয়ত ধ্বংস করছে পরিবেশ। কারণে অকারণে পৃথিবী টিকে থাকার অন্যতম স্থাপনা পাহাড় কাটা হচ্ছে। এমনকি প্রকৃতির প্রাণিকুল থেকে শুরু করে তৃণ গুল্মলতাকেও ধ্বংস করা হচ্ছে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি উত্তপ্ত হচ্ছে পৃথিবী। আর এভাবেই মানুষ বিলুপ্তির পথে এগোচ্ছে। 

মানব অসভ্যতার ধ্বংসযজ্ঞের তালিকায় এগিয়ে আছে বন্যপ্রাণিরা। আমাজন থেকে শুরু করে আমাদের সুন্দরবন; কোথাও রেহাই পাচ্ছেনা এই প্রাণিরা। সম্প্রতি কক্সবাজারের চকরিয়ায় এমনই একটি ঘটনার মাধ্যমে মানুষের অসভ্যতার প্রমাণ মিলেছে। সেখানে একটি বন্যহাতিকে খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

কক্সবাজারের উত্তর বন বিভাগের চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের পূর্ণগ্রাম বনবিটের অধীনে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী জয়া আহসান। হাঙ্গামা ২৪-এর পাঠকদের জন্য দুই বাংলার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘‘হাতির এমন অপূর্ব একটি সৌন্দর্য আছে, যা অন্য আর কোনো প্রাণীর মধ্যে নেই। আর কী রকম নিমেষেই যে হাতি আমাদের ছেলেমানুষীতে ভরা নিটোল শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে! 

খবর পেলাম, অনিন্দ্যসুন্দর তেমন একটি হাতিকে নাকি গুলি করে মারা হয়েছে চকরিয়ায়। দেশে হাতি মারার খবর প্রায় নিয়মিতই পাচ্ছি।

বনবিভাগ আর আইইউসিএনের একটি হিসেবে দেখা গেছে, বাংলাদেশের বনে মাত্র ২৬৮টি এশীয় হাতি বাস করছে। তাদের এক তৃতীয়াংশ বাস করে পার্বত্য চট্টগ্রাম আর কক্সবাজারে। খুব মনের আনন্দে নয়। কারণ, বন উজাড় করে তাদের স্বাভাবিক চলাফেরার পথগুলো দখল করে নিচ্ছে মানুষেরা। ফলে তারা যখন নিজেদের পথে চলতে-ফিরতে আসছে, দখলদার মানুষেরাই উল্টো তাদের গুলি করে মারছে।

গত বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২০টি হাতি মারার খবর পাওয়া গেছে। আজকে আরেকটি। গত ছয় দিনে চারটি হাতি মারা হলো, বাংলাদেশ হাতির জন্য হয়ে উঠছে এক নির্মম গোরস্থান। হাতি মহাবিপন্ন তালিকায় থাকা একটি প্রাণী। আমাদের অনন্য সৌভাগ্য যে বাংলাদেশ হাতির একটি সুন্দর বিচরণক্ষেত্র। তারা আমাদের ঐশ্বর্য। আগামী পৃথিবীর জন্য কি আমরা তাদের রক্ষা করব না?

আমি দাবি করি, আলাদা করে একটি বন্যপ্রাণী অধিদপ্তর বা বিভাগ খোলা হোক। নইলে অচিরেই আমাদের জীববৈচিত্র্য শূন্যের কোঠায় দৌড়ে নামতে শুরু করবে। কপাল চাপড়েও আর উদ্ধার পাব না।

আর সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের মনে একটু মমতা জন্মাক। আমরা জীবে দয়া করি। ‘জীবে দয়া করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।’’

প্রকৃতি ও প্রাণী রক্ষার জন্য এমনই আর্তনাদ করেছেন জয়া আহসান। শুধু তিনিই নন, এমন গুটি কয়েক মানুষ প্রতিনিয়ত এমন দাবি জানিয়ে যাচ্ছেন। তবুও ধ্বংসকারীরা সভ্য হয়না। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তাদের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কেনো ভূমিকা নিতে দেখা যায় না।

হাঙ্গামা২৪

সব খবর সবার আগে জানতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url