এ জার্নির শুরুটা সেই ২০১৪ সালে। এটা দীর্ঘ ৭ বছরের পরিশ্রম। নানা চড়াই-উতরাই শেষে সিনেমাটির কাজ শেষ হয় এবং সেন্সর বোর্ডে জমা পড়ে। কিন্তু বোর্ডের সদস্যরা সিনেমাটি দেখে মোটেও সন্তুষ্ট নন। তাই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিনেমাটিকে নিষিদ্ধ করার।

কথা হচ্ছে তরুণ নির্মাতা রুবেল আনুশের প্রথম সিনেমা ‘প্রেম কাহন’ নিয়ে। ২০১৪ সালে অর্থাৎ দীর্ঘ ৭ বছর আগে এই সিনেমার কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। তখন অবশ্য প্রেম কাহন নাম ছিলোনা সিনেমাটির। তখন এর নাম ছিল ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সিমলা। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন কিশোর অভিনেতা মামুন। সম্প্রতি এটি জমা পরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে। তারপর বোর্ডের সদস্যরা এটি দেখেছেন এবং নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

কিন্তু কী কারণে নিষিদ্ধ হচ্ছে ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’? জানা গেছে, এই সিনেমায় ধারণকৃত কিছু বিষয় নিয়ে আপত্তি রয়েছে সেন্সর বোর্ডের। এই সিনেমার গল্পে রয়েছে নায়ক-নায়িকার মধ্যে অসম প্রেম। যা কিশোর ও যুব সমাজের জন্য নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়াও এ সিনেমায় রয়েছে লাশের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের দৃশ্য এবং মাত্রাতিরিক্ত গালাগালি। এসব সাধারণ দর্শকের দেখার উপযুক্ত নয় বলে মনে করেন সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা। তাই নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

এদিকে সিনেমাটির পরিচারক রুবেল আনুশ বলেন, ‘‘এখনো বোর্ডের চিঠি পাইনি। তবে আন-অফিসিয়ালি খবরটি জানতে পেরেছি। আমার এই সিনেমায় কোনো অ্যাডাল্ট দৃশ্য নেই। গালি ছিল, তবে তা মিউট করে দিয়েছি। এরপরও তারা আপত্তি তুলেছেন।’’

সেন্সর বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ রয়েছে। তবে আপিল করবেন না আনুশ। তিনি বলেন, ‘তারা যেসব সংশোধন করতে বলেছেন, সেটা করলে এখানে কোনো গল্পই থাকবে না। তাই আমি আপিল করব না।’’

নিজের নির্মিত প্রথম সিনেমা দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও সেটা আর পারছেন না রুবেল আনুশ। তাই বাধ্য হয়েই যে কোনো অনালাইন প্ল্যাটফর্মে সিনেমাটি মুক্তি দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।  

উল্লেখ্য, আলোচিত-সমালোচিত সিনেমা ‘প্রেম কাহন’-এ শিমলা, মামুন ছাড়াও অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, রুমাই নোভিয়া, পুলক, বাপ্পী, লাবণী, সাদিয়া প্রমুখ।