Saayoni : মধ্যরাতে হোটেলে সায়নী; ঘেরাও করেছে পুলিশ!
মধ্যরাতে হোটেলে সায়নী; ঘেরাও করেছে পুলিশ! |
মধ্যরাতে হোটেলে সায়নী; ঘেরাও করেছে পুলিশ!
টালিগঞ্জের যে দু-একজন স্পষ্টবাদী ব্যক্তিত্ব রয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম সায়নী ঘোষ। গতানুগতিক চলচ্চিত্রে একদমই দেখা যায়নি তাকে, যতটুকু জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছেন তার পুরোটাই ভিন্নধারার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ফলে। তার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক দর্শনও ভিন্নধারার। সবার কাছে বামপন্থী সমর্থক বলেই পরিচিতি সায়নী। তবে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে আশ্রয় নিয়েছেন তৃণমূলের পতাকার নিচে। আসানসোলের দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থীতা করেছিলেন সায়নী ঘোষ।
টালিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধ্যরাতে একটি হোটেলে অবস্থান করার সময় পুলিশের রোশানলে পড়েছেন। পুরো হোটেল ঘেড়াও করে রেখেছে ক্রেন্দ্রীয় পুলিম সদস্যরা।
বাংলার নির্বাচন শেষ করে এবার তৃণমূলের নজর ত্রিপুরা পৌরসভা নির্বাচনে। তাই ঘন ঘন রাজ্যটিতে হাজির হচ্ছেন তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। আসন্ন ভোটকে কেন্দ্র করে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি, কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেবসহ আরো অনেকেই। এদের মধ্যে রয়েছেন যুব তৃণমূল সভাপতি সায়নী ঘোষ নিজেও। আর সেখানেই জড়িয়েছেন পুলিশি ঝামেলায়।
তৃণমূলের এই নেতৃত্বরা আসামে গিয়ে উটেছেন সেখানকার পোলো টাওয়ার হোটেলে। সায়নীকে আটক করতে খুব সকালে সেই হোটেলেই হানা দিয়েছে পুলিশ। তাদের অভিযোগ, সায়নী যে গাড়িতে ছিলেন সেই গাড়ি একজনকে ধাক্কা মেরেছে। তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় যেতে হবে। পুলিশের এই আটক অভিযানে বাধাঁ দেন কুণাল ঘোষ। সায়নীকে আটক করার আইনি নোটিস চাইলে তা দিতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে সায়নী স্পষ্টভাষায় জানিয়েছেন, পালিয়ে যেতে রাজনীতিতে আসেননি তিনি। মুখোমুখি লড়াই করার জন্যই এসেছেন। কেনো তাকে থানায় ডাকা হয়েছে তা জানতেই থানায় যাবেন তিনি।
এর আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে তিরষ্কার করে সায়নী টুইট করেছিলেন, “আপনার মরে যাওয়া উচিত। নিজের থেকে অর্ধেক বয়সের তরুণ নেতাদের আক্রমণ করায় আপনার লজ্জিত হওয়া উচিত। বিশ্বাস করুন আমরা যখন বলছি তখন আপনাকে এবং আপনাদের দলকে ত্রিপুরার মানচিত্র থেকে মুছে দেব। কথা দিচ্ছি আমরা।”
সবার ধারনা তার এই টুইটই খেপিয়েছে বিজেপিকে। আর এ কারনেই পুলিশি ঝামেলার মুখে পড়তে হয়েছে সায়নীকে।
হাঙ্গামা ২৪
সব খবর সবার আগে জানতে
যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে