James-Miles : আদালতে মাইলস ও জেমস

আদালতে জেমস
আদালতে জেমস

আদালতে মাইলস ও জেমস


বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তি রকস্টার মাহফুজ আনাম জেমস। অপরদিকে বাংলা রক সংগীতের বহুল জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস। যারা আশির দশক থেকে এখনাব্দি মানুষের মনে জায়গা দখল করে আছেন তাদের গায়কি মুগ্ধতায়। মাইস ও জেমস, এই দুই জিবন্ত কিংবদন্তী উঠেছেন আদালতে।

না, তারা নিজস্ব কোনো অপরাধের কারণে আদালতে হাজির হননি। বরং তাদের সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিচারের দাবিতেই আইনের স্বরণাপন্ন হয়েছেন মাইলস ও জেমস। মোবাইল অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংকের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে প্রথমে মামলা দায়ের করেছেন দেশের শীর্ষ সংগীত তারকা জেমস। এরপর একই দিনে একই কোম্পানির বিরুদ্ধে মাইলস ব্যান্ডের পক্ষ থেকে এর প্রতিষ্ঠাতা ও ভোকাল শাফিন আহমেদ ও হামিন আহমেদ মামলা দায়ের করেন।

বুধবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার নিম্ন আদালত জেমসের করা মামলাটি গ্রহণ করেন। এ মামলায় পরোয়ানা জারি করে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংককে হাজির হতে আদেশ প্রদান করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। 

এদিকে, একই দিনে বেলা ১১টা নাগাদ ইমরুল কায়েশের আদালতে হাজির হয়ে শাফিন আহমেদ ও হামিন আহমেদ দুইটি মামলার আবেদন জমা দেন। এরপর দুটি মামলার পরিপেক্ষিতেই বাদীদের জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালত এবং বাংলালিংকের নামে সমন জারি করেন।

জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস তাদের অভিযোগে জানান, তাদের ব্যান্ডের ‘ফিরিয়ে দাও’ ও ‘নীলা তুমি’ শিরোনামের গান দুটির কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করে ১৪ বছর যাবত ব্যবসায়ীক স্বার্থে ব্যবহার করে আসছে মোবাইল অপারেটর কোম্পানী বাংলালিংক। আর এ কারনেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ব্যান্ডটি।
 
মাইলস
মাইলস 


এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল। তাপস কুমার পাল হাঙ্গামা ২৪-কে বলেন, ‘‘নগরবাউল জেমস দেশের একজন জনপ্রিয় শিল্পী। তার অনেক জনপ্রিয় গান রয়েছে। কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই জেমসের গান বাংলালিংক তাদের ওয়েলকাম টিউন, বিজ্ঞাপনসহ অনেক মাধ্যমেই ব্যবহার করে আসছে। বাংলালিংকের এসকল কর্মকাণ্ড কপিরাইট আইন ভঙ্গের সামিল। আর এ কারণে জেমস মামলা করেছেন।’’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারতের তুমুল জনপ্রিয় রকস্টার নগরবাউল জেমস ব্যান্ড মিউজিকের উজ্জ্বল নক্ষত্র। চট্টগ্রামে আশির দশকের শুরুতে সঙ্গীত জীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৮৬ সালে ঢাকায় এসে শুরু করেন ‘ফিলিংস’ ব্যান্ড। তখনই প্রকাশ পায় প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশন রোড’। এরপর ১৯৮৭ সালে প্রকাশ পায় ‘অনন্যা’। জেমসের প্রথম একক অ্যালবাম। ১৯৯৩ সালে প্রকাশ হয় ‘জেল থেকে বলছি’। জেমসের প্রতিটি অ্যালবামই একটু একটু শীর্ষ অবস্থানে নিয়ে যায় তাকে। জেমসের ক্যারিয়ারে কোনো ‘ফ্লপ’ শব্দটি নেই। 

দেশের গন্ডি পেরিয়ে বলিউডেও জনপ্রিয় জেমস। ২০০৫ সালে ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমার ‘ভিগি ভিগি’ দিয়ে তার হিন্দি গানের ক্যারিয়ার শুরু। এরপর ২০০৬ সালে ‘চাল চালে’, ২০০৭ সালে ‘আলবিদা’ ও ২০১৩ সালে প্রকাশ প্রায় ‘বেবাসি’ গানগুলো। এর প্রত্যেকটিই তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। 

অনেকদিন হলো জেমসের কোনো নতুন গান প্রকাশ হয়নি। তবে আগের গানগুলোতেই ভক্তদের মাতিয়ে রাখেন তিনি। তাই জেমসের গানের সুরক্ষায় দাবি ভক্তদেরও।

হাঙ্গামা ২৪


সব খবর সবার আগে জানতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url