দেশের টেলিভিশনে এক সময় ছিলেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। বিজ্ঞাপন কিংবা টিভি নাটক যাই হোক, সব খানেই ছিলো তার উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি। সেই ধারাবাহিকতায় দু-একটি সিনেমাতেও দেখা গেছে তাকে। তিনি ছিলেন শো-বিজ অঙ্গনের অন্যতম সম্ভাবনাময় অভিনেত্রী। তিনি এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনিকা কবির শখ।

একটি সুন্দরী প্রতিযোগীতার মাধ্যমে দেশের শোবিজে পা রাখেন শখ। তারপর থেকে শুধুই সফলতা। সে সময়ের টিভি পর্দার আরেক সফল অভিনেতা ছিলেন নিলয় আলমগীর। একই অঙ্গনে কাজ করার জন্য দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। এরপর প্রেম, অতঃপর বিয়ে। ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তারা বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু তাদের দাম্পত্য জীবন বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। মাত্র দুই বছরের মধ্যেই ভেঙ্গে যায় তাদের সংসার।

এরপর অনেকদিন একাই ছিলেন শখ। এরপর ২০২০ সালের ১২ মে আতিকুর রহমান জনকে বিয়ে করেন শখ। গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার বলিয়াদি গ্রামের জন পেশায় একজন ব্যবসায়ী। এই সংসারে গত ২৪ সেপ্টেম্বর একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন শখ।

বিয়ে, বিচ্ছেদ, ফের সম্পর্ক, বিয়ে, মা হওয়া সব মিলিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্যামেরার আড়ালে ছিলেন এ অভিনেত্রী। সম্প্রতি একটি এফএম রেডিও স্টেশনের লাইভ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন তিনি। সেখানেই তার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন আনিকা কবির শখ।

সম্পর্ক প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রী বলেন, “মানুষের কখনো একটা রূপ থাকে না। মানুষ বহুরূপি। একারনেই মানুষকে পুরোপুরি চেনা যায় না। যারা সঠিক মানুষ খুঁজে পায়, তারা নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান। কোটি মানুষের ভিরে সেই একজনকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে দিনশেষে সঠিক মানুষটা বের হয়ে আসে। খুঁজে নিতে হয় না, চলেই আসে।”

শখ বলেন, “এখন সম্পর্ক ভাঙা-গড়াকে মানুষ অনেকটা স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছে। কারণ, জোর করে তো সম্পর্ক হয় না। একটা মানুষের সঙ্গে বোঝাপড়া না থাকলে তো জোর করে থাকা সম্ভব না। খারাপভাবে সম্পর্ক রাখার চেয়ে সুন্দরভাবে ভেঙে যাওয়াই ভালো।

অনুষ্ঠানের উপস্থাপক শখের কাছে জানতে চান, সুখের সংজ্ঞা কি? উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, “খুবই সিম্পল। মানুষের চাহিদা যত কম, যত অল্পতে মানুষ সন্তুষ্ট হতে পারে, তত সুখ বেশি। সুখের সংজ্ঞা মূলত এটাই।” অতীতে ভুল নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই শখের। তিনি সবসময় বিশ্বাস করেন প্রত্যেকটা মানুষই ভুল থেকে শেখে। 

নিলয় আলমগীরের সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে তিনি জানান, দুজনার পরিবারই এটাকে স্বাভাবিকভাবে নিয়েছে। কেননা বোঝাপড়া হয়নি বলেই তারা দাম্পত্যে ইতি টেনেছিলেন।