সফলতার লক্ষ্য নিয়েই সবাই নাম লেখান সিনেমায়। সে সফলতা কারো হাতে আপনা আপনি ধরা দেয়, আবার বহু কাঠ-খড় পুড়িয়েও ফ্লপ তকমা নিয়েই ক্যারিয়ার শেষ করতে হয় অনেকের।

এমনি একজন সান্দালি সিনহা। ২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া বলিউডের সুপারহিট সিনেমা ‘তুম বিন’র মাধ্যমে রাতারাতি পরিচিতি পান তিনি। কিন্তু এরপর আর ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি তার। ঝুলিতে জমা হতে থাকে একের পর এক ফ্লপ সিনেমা। ক্যারিয়ারের এমন বাজে পরিস্থিতিতে ফ্লপ নায়িকার তকমা নিয়েই পর্দা থেকে সরে দাড়ান এই অভিনেত্রী। দীর্ঘ ৯ বছর পর এই অভিনেত্রীকে আবারো ফেরেন চলচ্চিত্রে।  ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তুম বিন ২’ সিনেমায় দেখা যায় তাকে। তবে সেখানে নায়িকা নয়, বরং উপস্থিত হয়েছেন অতিথি শিল্পি হয়ে।

২০০৫ সালের দিকে হতাশা নিয়ে সিনেমা অঙ্গন ছাড়লেও একেবারে ভেঙ্গে পড়েননি তিনি। হতাশা কাটাতে ব্যবসা নিয়ে ভাবতে শুরু করেন সান্দালি। স্বল্প কিছু পুজি নিয়ে শুরু করে রুটি-বিস্কিট তৈরি ও বিক্রির কাজ। অক্লান্ত পরিশ্রম ও একনিষ্ঠতায় গড়ে তোলেন নিজের প্রতিষ্ঠান। বর্তমান সময়ের ভারতের সবচেয়ে বড় ও পরিচিত ব্যাকারি ‘কান্ট্রি অব অরিজিন’-এর মালিক তিনি। এই প্রতিষ্ঠানটার মালিক ছিলেন মূলত তার স্বামী। ব্যবসার আগ্রহ দেখে তার স্বামী সান্দালিকে যুক্ত করে নেন। আর দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পর এই ফ্লপ নায়িকা বনে গেছেন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। বেকারি ব্যবসার পাশাপাশি মুম্বাইতে তার মালিকানায় একটি স্পা সেন্টারও রয়েছে।

বর্তমানে ব্যবসায়ী হিসেবে সফলতা পেলেও পুরোই নিরব আছেন সান্দালি। এমনকি নিজের ব্যক্তিগত সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতেও কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছেন। মিডিয়ার ঝলমলে দুনিয়াকে টাটা গুডবাই জানিয়ে একেবারে একান্ত জীবন যাপন করছেন লাহ্যময়ী এই নায়িকা।

প্রসঙ্গত, সান্দালি সিনহা ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতেন বড় চিকিৎসক হওয়ার। সিনেমার কথা কল্পনাও করেননি তখন। কিন্তু স্কুল গন্ডি পেড়োতেই স্বপ্ন মোড় নিলো মিডিয়ার ঝলমলে আলোর পথে। কলেজে থাকতে শখের বশেই হাটতে শুরু করেন র‍্যাম্পের গালিচায়। সেখান থেকেই বলিউডে অভিনয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকেন তিনি। বলিপাড়ায় জানাশোনা না থাকায় 

প্রথমে একটি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেন তিনি।সেই মিউজিক ভিডিওর নির্মাতা অনুভব সিনহাই সান্দালিকে সুযোগ করে দেন সিনেমায়।