একসময়ের জনপ্রিয় অলরাউন্ডার ছিলেন নাসির হোসেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অটো চয়েস ছিলেন তিনি। একই সঙ্গে বোলিং ও ব্যাটিং দক্ষতায় নজর কেড়েছিলেন সবার। অল্প সময়েই পেয়েছিলেন তুমুল জনপ্রিয়তা। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ব্যক্তিগত জীবনে বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য বিতর্কের চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যান এই অলরাউন্ডার। যার ফলে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার ও ব্যক্তি ইমেজ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনো সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় তাকে।

তিনি প্রথমবার বিতর্কিত হন মডেল ও অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রার সঙ্গে গোপন প্রেমে জড়িয়ে। এ ঘটনা কম-বেশি সবারই জানা। সামজিক মাধ্যমে তাদের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ছিলো তখন হট টপিক। সেই সম্পর্ককে কেন্দ্র করে অনেক হাসাঠাট্টা আর সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন নাসির-সুবাহ দুজনেই।

সেসব বিতর্ককে পেছনে ফেলে নাসির এখন বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। বিতর্ক তার পিছু ছাড়েনি তবুও, বরং আরো বেড়েছে। তাও বর্তমান সংসারকে কেন্দ্র করেই। তার স্ত্রী তামিমা ছিলেন বিবাহিতা। তার আগের স্বামী রাকিব প্রতারণার অভিযোগ তুলে মামলাও করেছেন। আর তাতেই আদালতে দৌড়াতে হচ্ছে নাসির ও তার স্ত্রী তামিমাকে।

নাসিরের এমন নাস্তানাবুদ অবস্থা দেখে সুকে থাকতে পারছেন না সাবেক প্রেমিকা অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রা। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে নাসিরের উদ্দেশ্যে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। যদিও সেখানে তিনি নাসিরের নাম উল্লেখ করেননি।

সুবাহ তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘প্রিয় প্রাক্তন, তুমি জানো, সেদিন যদি তুমি একটাবার আমার কাছে চলে এসে সবকিছু ঠিক করে নিতে, তাহলে হয়তো আজ তামিমার মতো ২ বাচ্চার মার কাছে তোমার ধরা খেতে হতো না! আর ধরা খেয়ে এইভাবে কোর্টে কোর্টে টাকা খরচ করে জামিন নিতে হতো না।’’

বিচ্ছেদ হলেও নাসিরকে ভালোবাসেন সুবাহ। তার জন্য এখনো খারাপ লাগে, কষ্ট হয়। তারও প্রমান মিললো সুবাহর স্ট্যাটাসে। সাবেক প্রেমিককে অপমানিত হতে দেখে কষ্ট পান জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘‘তুমি মুখে যতই হাসো কিন্তু তোমাকে দেখলেই আমি বুঝতে পারি তুমি ভালো নেই। তোমাকে এভাবে অপমানিত হতে দেখে আমার খুব খারাপ লাগছে। এখনো তোমার জন্য তোমার নাম জড়িয়ে আমাকে অনেকেই কমেন্ট করে, তোমার নাম লেখে। অথচ তুমি এখন অন্য কাউকে নিয়ে আছো!’’

আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যেই বিয়ে করে ফেলবেন সুবাহ। সে কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘‘তোমার সাথে যত কিছুই হোক না কেন, এক দিনের জন্য হলেও তো তোমাকে ভালোবেসেছিলাম। তাই যখন দেখি ক্যারিয়ার নিয়ে তোমার চিন্তা-ভাবনা নেই, উল্টা এইসব নিয়ে দৌড়াচ্ছ; তা দেখে খুবই দুঃখ পাই। হয়তো ২/৩ বছরের মধ্যে বিয়ে করে ফেলবো। আর অবশ্যই তোমার মত আমার হাজব্যান্ড হবে না। তোমার থেকে অবশ্যই ভালো হবে। হয়তো টাকা কম থাকতে পারে তার! আমার জন্য তুমি দোয়া করো। তোমার জন্য শুভকামনা রইলো। আশা করি সবকিছু বাদ দিয়ে আবার নতুন করে জাতীয় দলে ফিরে আসবে। ভালো থেকো সব সময়। ইতি, তোমার সবচেয়ে অপছন্দের ব্যক্তি সুবাহ।’’

উল্লেখ্য, নাসিরের বর্তমান স্ত্রী তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান অভিযোগ তুলেছেন, তার স্ত্রী তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছে নাসির। তামিমা তাকে ডিভোর্স না দিয়েই নাসিরকে বিয়ে করেছেন উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, এটা তার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। এজন্য চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। রাকিব-তামিমার সংসারে একটি মেয়েও রয়েছে।

অপরদিকে, তামিমা এই অভিযোগ অস্বিকার করে জানিয়েছেন, তাদের বিচ্ছেদ অনেক আগেই হয়েছে। আর নাসিরও তাতে সায় দিয়ে বলেছেন তামিমা-রাকিবের তালাকনামা দেখেই তিনি বিয়ে করেছেন।