Sohini Sarkar : ডিরেক্টরের লালসা থেকে যেভাবে রক্ষা পেলেন
Sohini Sarkar - সোহিনী সরকার |
ডিরেক্টরের লালসা থেকে যেভাবে রক্ষা পেলেন সোহিনী
টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। ২০১৩ সালে ‘রূপকথা নয়’ সিনেমার মধ্র দিয়ে যাত্রা শুরু করেন বড় পর্দায়। তবে ব্যপক আলোচিত হন একই বছরে নির্মিত ‘ফড়িং’ সিনেমার সুবাদে। এর আগে ছোট পর্দায় বিভিন্ন সিরিয়ালে রেগুলার কাজ করেছেন।
অভিনয়ে সোহিনীর ক্যারিয়ার প্রায় দেড় দশকের। এই দীর্ঘ সময়ে ইন্ডাস্ট্রির বহু রূপ দেখেছেন তিনি। অভিনয়ের শুরুর দিকে তিনি কাস্টিং কাউচেরও শিকার হয়েছিলেন। পরিচালকের অনৈতিক লালসার শিকার হতে হতে শেষ পর্যন্ত বেঁচে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি জানালেন সেই অভিজ্ঞতার কথা।
Sohini Sarkar - সোহিনী সরকার |
কলকাতার একটি গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে এক দর্শকের প্রশ্নের জবাবে সোহিনী সেই তীক্ত অভিজ্ঞতার গল্প শোনান। তিনি বলেন, ‘একজন নারী হওয়ার সুবাদে ছোটবেলা থেকেই এ বিষয়টার মুখোমুখি হতে হয়। সেটা কেবল এই পেশায় নয়। স্কুলে যাওয়ার সময় অটোতে বসে, বাসে উঠে, ট্রেনে, এরকম বহু জায়গায় বহু অভিজ্ঞতা সবারই কিছু না কিছু হয়েছে।’
মিডিয়া সম্পর্কে বাজে ধারণা নিয়েই কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। বললেন, ‘মিডিয়া নিয়ে সবার যেমন ধারণা, আমারও তেমনই ছিল। তাই কাজ করতে এসে নিজেকে সবসময় গুটিয়ে রাখতাম। সবসময় নিজেকে বাঁচিয়ে রাখারই চেষ্টা করেছি। কেউ ইয়ার্কি মারার সূত্র ধরে বাজে ইঙ্গিত করতেন। যখন আমি টিভি সিরিয়াল করেছি, তখন ভালো মানুষ যেমন পেয়েছি, তেমনি এরকম বাজে মানুষও দেখেছি। যারা কারণে অকারণে শরীরে হাত দিতে চায়।’
Sohini Sarkar - সোহিনী সরকার |
একটানা সোহিনী বলতে থাকলেন, ‘এতে যদি সাড়া না দেই, তাহলে শুটিং ফ্লোরে এমনভাবে চিৎকার-চেঁচামেচি করে, বকাঝকা করে, সব গুলিয়ে দেয়। এটা আমি প্রথম দিকে বুঝতে পারিনি। কেন আমার সঙ্গে এমনটা করছে। তখন আমি ছোট, ক্লাস ইলেভেন বা টুয়েলভে পড়ি। কাজটা আমি মনোযোগ দিয়ে করার চেষ্টা করছি। কিন্তু সে আমাকে এত বেশি বকছে, আর আমি বুঝতেও পারছি না, আসলে কেন বকছে।’
এই বকাঝকা ছিল মূলত সোহিনীকে বাগে আনার ফাঁদ। তিনি বলেন, ‘বকাঝকার পর আবার যখন মেকআপ রুমে যাচ্ছি, সে আমার সঙ্গে খুব আন্তরিক হওয়ার চেষ্টা করছে। যাতে তার জালে খুব সহজেই ধরা দেই।’
Sohini Sarkar - সোহিনী সরকার |
সোহিনী জানান, ২০০৫-০৬ সালের দিকে এমনটা হয়েছিল তার সঙ্গে। কিন্তু তখন সামাজিক মাধ্যম এত অ্যাকটিভ ছিল না বিধায় সেভাবে বলতে পারেননি। অবশ্য পরবর্তীতে তিনি যখন প্রতিষ্ঠা পেয়ে যান, তখন আর ওই ধরণের মানুষকে দেখেননি বলে জানান। তার মতে, ওইসব লোকের মধ্যে কাজের যোগ্যতা ছিল না। তাই হারিয়ে গেছে।
হাঙ্গামা ২৪
সব খবর সবার আগে জানতে ভিজিট করুন
https://bnbd24.com/