Aryan Khan : আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে মিললো গোপন তথ্য
আরিয়ান ও তার পরিবার |
গত ২ অক্টোবর রাতের প্রথম প্রহরে মুম্বাই থেকে গোয়াগামী একটি প্রমোদতরী থেকে আরিয়ান খানসহ ৮ জনকে আটক করা হয়। ভারতের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) এই আটক অভিজান পরিচালনা করে। পরবর্তীতে তাদেরকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর আরিয়ানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বাকি চার জনকে ছেড়ে দেয় এনসিবি। বর্তমানে মুম্বাইয়ের আর্থার জেলে রয়েছেন বলিউড বাদশাখ্যাত শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান। ছেলেকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে প্রায় সবরকম চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন শাহরুখ। বারবার জামিন আবেদন করেও কাজ না হওয়ায় নতুন আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে আরিয়ান খানের মামলা লড়ছেন আইনজীবী অমিত দেশাই। যিনি ২০০২ সালে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বহুল আলোচিত মামলা ‘হিট অ্যান্ড রান’ থেকে মুক্ত করেছিলেন। কিন্তু অমিত দেশাইকে দিয়েও ছেলের জামিন করাতে পারচ্ছেন না বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান।
গতকাল বুধবার (১৩ অক্টোবর) ফের আরিয়ান খানের জামিন আবেদন করা হয় আদালতে। কিন্তু তার বিরোধিতা করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (এনসিবি) আইনজীবী। জামিনের শুনানিতে আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে চাঞ্চল্যকর গোপন তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে এনসিবি। তারা বলছে, আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আরিয়ান খান। আরিয়ানের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে এমন তথ্য-প্রমাণ এনসিবির হাতে এসেছে বলে জানিয়েছে তারা।
অপরদিকে আরিয়ান খানের আইনজীবী অমিত দেশাই আদালতকে জানিয়েছেন, আরিয়ান খান ওই প্রমোদতরীর ভেতরেই ছিলেন না। তাকে প্রমোদতরীর গেট থেকেই আটক করে এনসিবির কর্মকর্তারা। এ মামলায় যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে কেবল আরিয়ানের কাছ থেকেই কোনও মাদক কিংবা বেআইনি কিছু পাওয়া যায়নি।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে এ মামলা সাময়িকভাবে স্থগিত করেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ফের আরিয়ান খানসহ বাকি অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন শোনার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, মুম্বাইয়ের একটি প্রমোদতরীর পার্টিতে মাদক সেবনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-এর কর্মকর্তাদের দীর্ঘ ৬ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে আরিয়ান মাদক গ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছিলো এনসিবি। আর এই স্বীকারউক্তির ভিত্তিতেই নাকি তাকে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস) আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় লেখা রয়েছে- ৩০ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ বড়ি এবং নগদ ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।
হাঙ্গামা ২৪
সব খবর সবার আগে জানতে ভিজিট করুন
https://bnbd24.com/