Puneeth Rajkumar : কিভাবে রিয়েল লাইফ হিরো হলেন এই নায়ক?
Puneeth Rajkumar |
কিভাবে রিয়েল লাইফ হিরো হলেন এই নায়ক?
ভারতীয় কন্নড় ভাষার সিনেমার সুপারস্টার পুনিত রাজকুমার। তিনিও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। ৪৬ বছর বয়সি এই ক্ষনজন্মা এই সুপাস্টারের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সিনেমার রঙ্গীন পর্দায় আমরা প্রায় সব নায়ককেই দেখতে পাই মহৎ ও মহান রুপে। বাস্তব জীবনে তারা কতটা মানবিক? কতটা মহান? এই প্রশ্নের উত্তর খুজলে হয়তো দু-একজন পাওয়া যেতে পারে। আর সেই দু-একজনের তালিকা বিচার করলে তার মধ্যে অন্যতম নাম হবে কন্নর সুপাস্টার পুনিত রাজকুমারের। কারণ এই ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে তিনিই একমাত্র নায়ক যে কিনা মাত্র ৪৭ বছর বয়সেই নিজের মৃত্যুর আগে নিজের চক্ষু দান করে গেছেন অসহায়দের কল্যানে।
এ ক্ষেত্রে বাবার দেখানো পথেই হেটেছেন পুনিত। তার প্রয়াত বাবা ডা. রাজকুমার ১৯৯৪ সালে চক্ষুদান করেছিলেন। আর যোগ্য বাবার যোগ্য ছেলে হয়ে সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন পুনীত রাজকুমার নিজেও। মৃত্যুর পর তার দান করা চোখ যেনো অসহায় কোনো অন্ধ মানুষের জীবনে আলো জ্বালাতে পারে সেই লক্ষে নিজের দু চোখ দান করে গেছেন তিনি।
কন্নড়ের আই ব্যাংঙ্ক নারায়ণ নেত্রালয়ের চেয়ারম্যান ডক্টর ভুজঙ্গ শেট্টী হাঙ্গামা২৪-কে জানিয়েছেন, ‘‘ডা. রাজকুমার মৃত্যুর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যই মরণোত্তর চক্ষুদান করবেন। ছেলে হিসেবে বাবার কথা রেখেছেন পুনিত। ডা. রাজকুমারের কথা অনুযায়ী পুনিত মরনোত্তর চক্ষু দান করে গেছেন।’’
তিনি হাঙ্গামা-কে বলেন, ‘‘আমাদের হাসপাতালে গরীব অসহায় অন্ধ গ্রহীতাদের এক লম্বা তালিকা রয়েছে। সৌভাগ্যজনক ব্যাপার হলো চক্ষু প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে রক্তের গ্রুপ মেলানোর কোনো দরকার হয় না। তাই যে কোনো ডোনারের চোখ যে কোনো গ্রহীতাই ব্যবহার করতে পারে। আমরা শিগগিরই পুনিতের সংগৃহীত চোখ ব্যবহার করতে পারব। তার চোখ দিয়ে আবার অন্যজন পৃথিবীর আলো দেখতে পাবেন।’’
তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘পুনিত শুধু পর্দায় নয়, বাস্তব জীবনের হিরো। মৃত্যুর পর প্রত্যেক মানুষেরই অঙ্গ-প্রতঙ্গ ছাই হয়ে যায় অথবা পচে মাটিতে মিশে যায়। তাই সবারই উচিৎ মৃত্যুর আগে তাদের বিশেষ অঙ্গগুলো দান করে যাওয়া। যার মাধ্যমে অন্য মানুষেরা উপকৃত হয়।’’
পুনীত রাজপুতকে কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সব থেকে ধনী অভিনেতা হিসেবে গণ্য করা হয়। পুনীত শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন। শুরুর দিকে ১২টি সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।
বড় পর্দায় নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর ২০০২ সালে ‘আপ্পু’ সিনেমায় অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান পুনীত। এরপর প্রায় ২৯ টি সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন এ অভিনেতা।
হাঙ্গামা ২৪
সব খবর সবার আগে জানতে ভিজিট করুন
https://bnbd24.com/