Mainul Ahsan Noble : নোবেলের তিনটি বিয়ের একটিও টেকেনি
Mainul Ahsan Noble |
ভারতীয় টিভি রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’ থেকে পরিচিতি পাওয়া বিতর্কিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের সংসার ভেঙ্গে গেছে। ইতোমধ্যে নোবেলকে তালাকের নোটিশ (ডিভোর্স লেটার) পাঠিয়েছেন তার স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল। গত ১১ সেপ্টেম্বর এই তালাকনামা নোবেলের ঠিকানায় পাঠান তিনি।
বুধবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নোবেলের স্ত্রী নিজেই। মেহরুবা সালসাবিল অভিযোগ করে বলেন, “নোবেল মানসিকভাবে চরম অসুস্থ, চরম মাদকাসক্ত ও নারী আসক্ত। সে আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করত; সব কিছুর প্রমাণ আমার কাছে আছে। এসব কারণে তাকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বরে সালসাবিলকে বিয়ে করেছিলেন নোবেল। তবে তিনি তখনই প্রকাশ্যে আনেননি। সেই বিয়ের কাবিননামা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর নিজেই স্বীকার করেছেন বিয়ের খবর। ভাইরাল হওয়া সেই কাবিননামায় দেখা গেছে, মেহরুবা সালসাবিলকে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন নোবেল।
তখন এই বিয়ের কথা সামনে আসতেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার এক ঘনিষ্ঠজন দাবি করেছেন, মেহরুবা সালসাবিল নোবেলের তৃতীয় স্ত্রী। এর আগে নোবেল রিমি নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। বনিবনা না হওয়ায় রিমিই নোবেলকে ডিভোর্স দেন। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন নোবেল। সেই সম্পর্কেও বিচ্ছেদ ঘটে। তবে এই বিষয়ে নোবেল বলেন, এসব ভিত্তিহীন খবর।
ভারতীয় জি বাংলার সারেগামাপা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন নোবেল। কিন্তু এরপর থেকে একের পর এক সমালোচনার জন্ম দেন তিনি। শুরুতে জাতীয় সংগীত ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কিত হন। এরপর কথিত প্রেমিকা কর্তৃক নিজের নগ্ন ছবি ফাঁস হওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়ান। এছাড়া গানের প্রোমশনের নাম করে নানাভাবে লেজেন্ড শিল্পী থেকে শুরু করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেও বিতর্কে জড়ান।
এরপর তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ এইচএসসি প্রোগ্রামের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। যদিও এ ব্যাপারে মামলা হয়নি।
কিছুদিন আগে অন্য এক পরনারীর সঙ্গে বান্দরবানে গিয়ে সময় কাটান নোবেল। যা নিয়ে তার স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছিলেন। এবার স্ত্রীর কাছ থেকে ডিভোর্স লেটার পেলেন এই গায়ক।
হাঙ্গামা বাংলা