তাহসান-পরীমনি; কেউই ছুতে পারেননি হানিফ সংকেতকে

হানিফ সংকেত
হানিফ সংকেত

বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নাট্যকার ও উপস্থাপক এ কে এম হানিফ। যিনি হানিফ সংকেত নামেই সর্বাধিক পরিচিত। ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’-এর নান্দনিক উপস্থাপনা তাকে এনে দিয়েছে দারুণ দর্শকপ্রিয়তা।


প্রযুক্তির এই যুগে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও সরব হানিফ সংকেত। ফেসবুকে তার নামে রয়েছে একটি ফ্যান পেজ। সেখানে তিনি নিয়মিত তার কাজের তথ্য ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করে থাকেন। অনেক আগেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তার অফিশিয়াল পেজটিকে ভেরিফায়েড করে ব্লু টিক দিয়ে দেয়। এবার তার ঐ পেজে ফলোয়ার বা অনুসারীর সংখ্যা বেড়ে দাড়ালো ১০ মিলিয়ন অর্থাৎ ১ কোটি।


এই মাইলফলক অর্জনের পর হানিফ সংকেত তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় কোটি হৃদয়েরও বেশি মানুষ দেশ বা বিদেশ, যে যেখান থেকে প্রাণ স্পর্শে-আনন্দ হর্ষে-সৎ আদর্শে-চিন্তার উৎকর্ষে-ভালোবেসে আমাদের এই ফেসবুক পেজে সহযাত্রী হয়েছেন, সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক অভিনন্দন। আপনাদের ভালোবাসায় আমরা ধন্য। শুভ কামনা সবার জন্য।’


জানা যায়, দেশের শোবিজ অঙ্গনে হানিফ সংকেতই প্রথম ব্যক্তিত্ব যার অনুসারী সংখ্যা ১ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করলো। তার কাছাকাছি রয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী-অভিনেতা তাহসান খান। তার অনুসারী সংখ্যা ৯৬ লাখের বেশি। তাহসানের পরের স্থানে রয়েছেন চিত্রনায়কা পরীমনি। এ অভিনেত্রীর অফিশিয়াল পেজে অনুসারীর সংখ্যা ৯৫ লাখের অধিক।


বিটিভির জনপ্রিয় ‘যদি কিছু মনে না করেন’ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দর্শকের নজর কাড়েন হানিফ সংকেত। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত প্রচার হয়েছে এটি। হানিফ সংকেত ১৯৮৯ সালে বিটিভিতে নিয়ে আসেন ‘ইত্যাদি’। যা এখনো ধারাবাহিকভাবে প্রচার হচ্ছে। প্রতি মাসেই অনুষ্ঠানটির নতুন পর্ব প্রচার হয়ে থাকে। যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও দীর্ঘস্থায়ী ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান।


পাশাপাশি অভিনেতা, লেখক, নাট্যনির্মাতা হিসেবেও হানিফ সংকেতের খ্যাতি রয়েছে। তার নির্মিত উল্লেখযোগ্য নাটক হলো—‘দুর্ঘটনা’, ‘আয় ফিরে তোর প্রাণের বারান্দায়’, ‘তোষামোদে খোশ আমোদে’, ‘বিপরীতে হিত’, ‘পুত্রদায়’ প্রভৃতি।


হাঙ্গামা বাংলা

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url