Theater : প্রদর্শনী বাতিল ঢাকা থিয়েটার-আরণ্যকের

প্রদর্শনী বাতিল ঢাকা থিয়েটার-আরণ্যকের
প্রদর্শনী বাতিল ঢাকা থিয়েটার-আরণ্যকের

প্রদর্শনী বাতিল ঢাকা থিয়েটার-আরণ্যকের


মহামারী করোনার কারণে দীর্ঘ পাঁচ মাস যাবত বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মিলনায়তন। এরমধ্যে শিল্পকলায় প্রদর্শিত হয়নো কোনো নাটক। অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় চলতি মাস সেপ্টেম্বরের শুরুতে খুলে দেয়া হয়েছে নাট্যশালার মিলনায়তন। শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে আয়োজক নাট্যদলগুলোকে বেধে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্ত।

নাটক মঞ্চস্থ করার মিলনায়তন খুলে দেওয়ার শুরু থেকেই বিশেষ প্রণোদনা ও আগামী এক বছরের মিলনায়তন ভাড়া মওকুফের দাবি জানিয়ে আসছেন নাট্য সংশ্লিষ্টরা। তবে এ দাবি কানে তোলেনি শিল্পকলা কর্তৃপক্ষ। এই ধারাবাহিকতায় এবার নাট্য প্রদর্শনী বাতিল ঘোষণা করলো ঢাকার প্রথম সারির দুই নাট্যদল ঢাকা থিয়েটার ও আরণ্যক। এ দুটো দলকে নাটক প্রদর্শনীর জন্য আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর নাট্যশালায় মিলনায়তন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

প্রদর্শনী বাতিলের প্রসঙ্গে নাট্যদল আরণ্যকের প্রধান সম্পাদক মামুনুর রশীদ হাঙ্গামা২৪-কে বলেন, ‘‘আমরা শর্ত সাপেক্ষে নাট্য প্রদর্শনী বাতিল করেছি। থিয়েটারের সবাই আমরা এতোদিন ধরে বেকার অবস্থায় বসে আছি। তাছাড়া করোনার ভেতরে তেমন দর্শকও আসবে না। তাতে প্রদর্শনীর খরচই উঠবে না। তাই আমাদের চাওয়া আগামী এক বছর শিল্পকলার সকল মিলনায়তনের ভাড়া সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনের জন্য মওকুফ করতে হবে। পাশাপাশি সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনকে বিশেষ প্রণোদনা দিতে হবে।’’

গতকাল (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ বিষয়টি মিলনায়তন বরাদ্দ কমিটিকে জানিয়েছে ঢাকা থিয়েটার ও আরণ্যককের নাট্য ব্যক্তিত্বরা। ঢাকা থিয়েটারের প্রধান ও নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ হাঙ্গামা২৪-কে বলেন, ‘‘মহামারি করোনার কারণে দেশের প্রায় সব সাংস্কৃতিক সংগঠনই আর্থিক সংকটে পড়েছে। এ অবস্থায় সংগঠনগুলোর পক্ষে সাংস্কৃতিক চর্চা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই সরকারকে সংস্কৃতিকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানাই।’’

গত ৮ সেপ্টেম্বর একই দাবি জানিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বরাবর লিখিত চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন। প্রতিমন্ত্রীর কাছে এ চিঠি লিখেছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ। তাতে শিল্পকলা একাডেমির সকল মিলনায়তনের ভাড়া এক বছরের জন্য মওকুফ এবং প্রতিটি অনুষ্ঠানের জন্য আয়োজনকারী সাংস্কৃতিক সংগঠনকে ৫ হাজার টাকা বিশেষ প্রণোদনা দেয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। সরকার বিষয়টি আমলে নিয়ে তাদের দাবিগুলো মেনে নেবেন বলেও আশা করছেন নাট্য সংগঠনগুলোর নাট্যব্যক্তিত্বরা।

হাঙ্গামা/অর্নব
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url