Amitabh Reza Chowdhury : অনুদানের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হলেন

অনুদানের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হলেন
অনুদানের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হলেন

অনুদানের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হলেন


বাংলাদেশের তারকা নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী। ২০০১ সালে ‘হাওয়া ঘর’ নামের একটি নাটক নির্মাণের মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। এরপর তিনি অসংখ্য বিজ্ঞাপন ও নাটক নির্মাণ করে প্রশংসিত হয়েছেন। ২০১৬ সালে নির্মাণ করেন এই দশকের অন্যতম ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র ‘আয়নাবাজি’। এই সিনেমার দর্শকপ্রিয়তা রাতারাতি তাকে তারকা নির্মাতার খ্যাতি এনে দেয়। 

এই খ্যাতিমান নির্মাতা ২০২১ অর্থবছরে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’ অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান পান। কিন্তু সিনেমা না বানিয়েই হঠাৎ করে অমিতাভ ঘোষণা দিয়েছেন- সরকারি কোষাগারে অনুদানের টাকা ফেরত দেবেন। ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’ নির্মাণের জন্য ৬০ লাখ টাকা অনুদান নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ১৮ লাখ টাকা পেয়েছেন অমিতাভ রেজা।


অনুদান ফেরত প্রসঙ্গে অমিতাভ জানান, অনুদান কমিটির সঙ্গে ইতোমধ্যে তার আলোচনা হয়ে গেছে। তিনি সরকারকে দু’একদিনের মধ্যেই পুরো টাকা ফেরত দেবেন। কিন্তু কেনো অনুদান নিয়েও তা ফেরত দিচ্ছেন এ প্রশ্ন এখন সবারই। মূলত সরকারি অনুদান পাওয়ার জন্য নির্মাতারা মুখিয়ে থাকেন। যেখানে এই অনুদান না পেলে অনেক নির্মাতাকে আক্ষেপ করতে দেখা যায় সেখানে তিনি ফেরত দিচ্ছেন কেন? 

সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নের উত্তরে ‘আয়নাবাজি’ খ্যাত এই নির্মাতা জানান, ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’ সিনেমা নির্মাণের জন্য কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কাছ থেকে তিনি দুই দফায় অনুমতি নিয়ে ছিলেন। তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও বেশ কয়েকবার এই সিনেমা নির্মাণের বিষয়ে পজিটিভ আলোচনা হয়েছে। এসব অনুমতির পরই তিনি অনুদানের জন্য চিত্রনাট্য জমা দিয়েছিলেন।


কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি ট্রাষ্টি বোর্ড গঠন করা হয়। সেই বোর্ড কর্তৃক তার সাহিত্য ও নির্মাণ বিষয়ে কিছু নিয়ম তৈরি করেছে। ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’ সিনেমাটি অনুদান পাওয়ার পর চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে ট্রাস্টি বোর্ডের কাছে যান অমিতাভ রেজা। তখন বোর্ডের পক্ষ থেকে এই নির্মাতাকে বেশ কিছু শর্ত দেয়া হয়।

নির্মাতা অমিতাভ রেজা মনে করেন, শর্তগুলো মেনে সিনেমাটি নির্মাণ করতে গেলে গল্পটির প্রতি অবিচার করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘আমি শর্তগুলোর বিরোধিতা করছি না। তবে সব শর্ত মেনে সিনেমাটি বানাতে গেলে সিনেমাটি আর হবে না। বরং স্যারের গল্পের অবমাননা করা হবে। তাই আমি সিনেমাটি নির্মাণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ তবে শর্তগুলো কি কি, তা পরিষ্কার করে বলেন নি এই নির্মাতা।


একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অমিতাভ রেজা চৌধুরীর এই সিনেমা নির্মাণ করতে না পারা বা অনুদান ফেরত দেয়ার মূল কারণ হল হুমায়ূন আহমেদ ট্রাস্টি বোর্ডের বড় অঙ্কের অর্থনৈতিক শর্ত। সিনেমা নির্মাণের আগেই তাদেরকে দিতে হবে সেই বড় অঙ্কের অর্থ। এমনকি মুক্তির পরেও রেভিনিউ শেয়ার করা সহ আরো বেশ কিছু শর্ত তারা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জীবিত অবস্থায় তার লেখা দু’টি উপন্যাসের অনুমতি নিয়েছিলেন নির্মাতা আবু সাইয়ীদ। সে উপন্যাস দুটি হলো— ‘নিরন্তর’ ও ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’। সাইয়ীদ পরবর্তী সময়ে ‘নিরন্তর’কে সিনেমায় রুপ দিলেও ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’ নিয়ে কোনো কাজ করেননি তিনি।

হাঙ্গামা/সানজানা
Next Post Previous Post
2 Comments
  • Boss
    Boss ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:৫০

    Good News

  • হাঙ্গামা ম্যান
    হাঙ্গামা ম্যান ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ০২:১৬

    thanks

Add Comment
comment url