Pori Moni : পরীমনির ওষুধের বক্সটাও নিয়ে গেছে!
পরীমনির ওষুধের বক্সটাও নিয়ে গেছে! |
পরীমনির ওষুধের বক্সটাও নিয়ে গেছে!
বর্তমানে টক অব দ্যা কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমনি। পুরো দেশের দৃষ্টি এখন তার দিকে। কারণ পরীমনির বিরুদ্ধে ওঠা মাদক সংশ্লিষ্ট অভিযোগ এবং সে অভিযোগে তার কারবাস। এবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দেয়া মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়েছেন পরীমনি।
আরও পড়ুন : ‘শত্রুতা’য় জেল খাটতে হয়েছে পরীমনির
২৫ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বেলা দশটা বেজে ৪৫ মিনিটে আদালতে হাজির হন তিনি। এদিন এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার কথা রয়েছে। এদিনকে আগেই ধার্য করে দিয়েছিলেন আদালত। হাজিরা দিতে এসে পরীমনি জানালেন নতুন তথ্য। তিনি বলেছেন, "যখন আমার বাসায় তারা (র্যাব) অভিযান চালায়, তখন আমার সব আসবাবপত্র তছনছ করে ফেলে। এমনকি আমার ড্রয়ার খুলে সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তছনছ করে।"
তিনি আরো বলেন, "এমনকি আমার প্রেসক্রিপশনসহ ওষুধের বক্সটা পর্যন্ত নিয়ে গেছে তারা। বর্তমানে আমার গাড়িসহ অন্যান্য জিনিসের কোনো কাগজপত্রই আমার কাছে নেই। পুরো বাসায় আমি ছাড়া আমার কোনো কিছুই নেই।"
আরও পড়ুন : পরীমনি ফিরবেন জন্মদিনের পরই
এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) এই নায়িকার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী আদালতের কাছে পরীমনির প্রয়োজনীয় জব্দ হওয়া জিনিসপত্র চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে জিনিসপত্রের তালিকায় রয়েছে- সাদা রঙের গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বেশকিছু জিনিস। সুরভীর করা আবেদনের পর আজ আদালতে হাজিরা দিতে এসে এসব কথা বললেন পরী।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেছেন। পর দিন অর্থাৎ ১লা সেপ্টেম্বর ২৭ দিন কারাবাস শেষে গাজিপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
আরও পড়ুন : পরীমনির জন্য সমাবেশ
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বনানীর ১২ নাম্বার রোডে চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসায় হঠাৎ করেই অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানের পর তাকে আটক করে হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা দায়ের করে করে গ্রেফতার দেখায় র্যাব। এই মামলায় এই নায়িকাকে প্রথমে ৫ আগষ্ট চার দিন, দ্বিতীয় দফায় ১০ আগষ্ট দুদিন, ১৯ আগষ্ট তৃতীয় দফায় একদিনসহ মোট সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরমধ্যে বেশ কয়েকবার জামিন আবেদন করলেও তা মঞ্জুর করেননি আদালত।
হাঙ্গামা/সানজানা