Nusrat-Taslima : নুসরাতের উপর ক্ষেপেছেন তসলিমা

নুসরাতের উপর ক্ষেপেছেন তসলিমা
নুসরাতের উপর ক্ষেপেছেন তসলিমা

নুসরাতের উপর ক্ষেপেছেন তসলিমা


কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। বেশ অনেকদিন ধরেই বিভিন্ন ব্যক্তিগত ইস্যু নিয়ে রয়েছেন আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এরমধ্যে তার সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে বহু জল ঘোলা হয়েছে নেট মাধ্যমে। শুরুতে সবাই ভেবেছিলো নুসরাত হয়তো নিজেকে ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন। হয়তো তার সন্তানকে নিজের পরিচয়েই বড় করবেন। এতে তার প্রশংসাও করেছিলেন প্রথাবিরোধী লেখিকা তসলিমা নাসরিন। 

গত ১৫ সেপ্টেম্বর নাতে প্রকাশ্যে এলো নুসরাতের সন্তানের বাবার। কলকাতা পৌরসভার ওয়েব সাইটে নথিভুক্ত করা হয়েছে নুসরাতের ছেলের নাম, ছেলের বাবা ও মায়ের নাম। এতোদিন সন্তানের পরিচয় নিয়ে যে ধোঁয়াশা ছিলো, তা এক নিমিষেই কেটে গেলো। তবে নিজের মুখে কিছুই বলেননি নুসরাত। যা করেছেন কলকাতা পৌরসভার ওয়েবে সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেট প্রকাশের মাধ্যমে। সেখানে সন্তান ঈশানের বাবার নামের স্থানে লেখা রয়েছে দেবাশীষ দাশগুপ্ত ওরফে যশ।

সন্তান জন্মের পর কলকাতার একাধিক ‘সিঙ্গেল মাদার’ তার পক্ষে কথা বলেছেন। তারা ভেবেছিলেন নুসরাত নিজেকে ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন। এমন কঠিন সময়ে একাই লড়াই করে যাচ্ছেন বলে তাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন অনেকেই। তবে পরিচয় প্রকাশ্যে আসার পর কেউই ভাবেননি, নুসরাতকে এভাবে দেখতে হবে। তাই কেউ আর তাকে পুরুষতন্ত্রের ছক ভাঙা নারীদের দলে দেখতে চাইলেন না। এমনকি যেই তসলিমা নাসরিন তার প্রশংসা করেছিলেন, তিনিও এবার ক্ষেপেছেন নুসরাতের উপর।

প্রথাবিরোধী লেখিকা তসলিমা নাসরিন নুসরাতকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “প্রচুর লেখালেখি, প্রচুর স্বাগত জানানো, শুভেচ্ছা জানানো, স্যালুট জানানো— এসব বরং এক্সট্রাঅরডিনারি সাহসী এবং পুরুষতন্ত্রের ছক ভাঙা মেয়েদের জন্য তোলা থাকুক। ট্র্যাডিশনাল মেয়েদের পেছনে সময় নষ্ট করা, তাদের বাহবা দেওয়া আপাতত স্থগিত থাকুক।”

তিনি লিখেছেন, “নুসরাতকে যতটা না বিল্পবী তার চেয়ে বেশি ভেবে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম নুসরাত তার সন্তানকে শুধু নিজের সন্তান হিসেবে পরিচয় দেবে। কার স্পার্ম সে নিয়েছে গর্ভবতী হওয়ার জন্য, সেটা মোটেও উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হবে না। কিন্তু না, নুসরাত আসলে অন্য যেকোনো রমণীর মতোই রমণী। সন্তানের বাবার নাম যদি নিতেই হতো, তা হলে এতদিনের লুকোচুরির কোনো মানে নেই। তাহলে যেকোনো ট্র্যাডিশনাল মেয়ের চেয়ে নুসরাতের তফাৎটা কোথায়?”

কিন্তু মাত্র দেড় মাস আগে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি পোস্ট করেছিলেন এই লেখিকা। তখন তিনি বলেছিলেন, “শুধুমাত্র শুক্রাণুর জন্যই সন্তান ধারণের সময় পুরুষের ওপর নির্ভরশীল নারী। এমনও দিন আসবে যে দিন মেয়েদের স্টেম সেল থেকে স্পার্ম তৈরি হবে। অথবা স্পার্ম তৈরি হবে মেয়েদের বোন ম্যারো থেকে। নুসরাত প্রতিষ্ঠিত মেয়ে। কারওর দাসীবাঁদী নয়। নিজের ইচ্ছের মূল্য দিতে জানে। সে তার সন্তানকে ভালো মানুষ করবে, এ আমার বিশ্বাস।”

হাঙ্গামা/প্রিয়াঙ্কা
Next Post Previous Post
2 Comments
  • Unknown
    Unknown ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০১:২৬

    নুসরাত নিজেকে হাইলাইট করার চেষ্টা

  • নামহীন
    নামহীন ০১ অক্টোবর, ২০২১ ২৩:০৬

    good news

Add Comment
comment url