নারীর মুখে কালি মাখছে তালেবান জঙ্গিরা

নারীর মুখে কালি মাখছে তালেবান জঙ্গিরা
নারীর মুখে কালি মাখছে তালেবান জঙ্গিরা

নারীর মুখে কালি মাখছে তালেবান জঙ্গিরা


দীর্ঘ ২০ বছর পর বিনা যুদ্ধে ফের আফগানিস্থান দখল নিয়েছে ইসলামি উগ্রপন্থী জঙ্গি সংগঠন তালেবান। কোনো এক অজানা কারনে চুপচাপ ক্ষমতা ছেড়ে আফগান থেকে সরে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের সমর্থিত সরকার ইতোমধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। গত ১৫ আগষ্ট (রবিবার) দেশ দখল নেয়ার পর মানবতা ও নারী স্বাধিনতার কথা বললেও তাদের চিরচেনা কট্টরপন্থা রুপেই ফিরে এসেছে তালেবান জঙ্গিরা।

আফগানিস্থানের রাজধানি শহর কাবুল দখলে নেওয়ার পরই ভোর পাল্টেছে এই জঙ্গি গোষ্ঠিটি। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পরই তারা ঘোষণা দিয়েছে যে, কোনো নারী ঘর থেকে বাহির হতে পারবে না। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলে অবশ্যই হিজাব ও বোরকা পরিধান করতে হবে। এমন ঘোষণার পাশাপাশি শহরের বিলবোর্ড, সাইনবোর্ডে থাকা নায়িকা, মডেলসহ সকল নারীর ছবির মুখে কালি দিয়ে ঢেকে দিয়েছে তালেবান সৈন্যরা।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো এ নিয়ে বেশ কিছু প্রতিবেদন করেছে। সেগুলোতে বলা হয়েছে, দেশটির রাজধানী তালেবানদের দখলে চলে যাওয়ায় সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সম্মুখভাগে থাকা সকল নারীর ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নারীদের ছবি ব্যবহার না করার আদেশ দিয়েছে তারা।

নারীর মুখে কালি মাখছে তালেবান জঙ্গিরা
নারীর মুখে কালি মাখছে তালেবান জঙ্গিরা

কাবুল থেকে সংবাদকর্মীদের তোলা বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, তালেবান জঙ্গিরা বিউটি পার্লার ও সেলুনের বাহিরে থাকা নারী মডেল ও নায়িকাদের ছবিগুলোতে কালো কালি মাখছে। তাদের উদ্দেশ্য নারীর মুখ ঢেকে দেওয়া।

২০ বছর পর ক্ষমতায় এসে উচ্ছাস প্রকাশ করে গণমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছে তালেবান মুখপাত্র সুহেল শাহীন। তালেবানের এই নেতা বলেছিলেন, "আমাদের শাসনামলে নারীরা স্বাধীনভাবেই থাকতে পারবে। তাদের ভয়ের কিছু নেই। শিক্ষা এবং কর্মক্ষেত্রে নারী অধিকার বজায় থাকবে। আমরা তালেবানরা তাদের ঘরে বন্দি করবো না।" কিন্তু বাস্তবের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। কট্টরপন্থি জঙ্গিগোষ্ঠিটি ফের ক্ষমতায় আসায় আফগান নারীরা তাদের অধিকার এবং বেঁচে থাকা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্থানের ক্ষমতায় ছিল তালেবান। সে সময় কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নারীরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিলো। এমনকি তাদের বাড়ির বাইরে বের হওয়াও নিষিদ্ধ ছিলো। বিশেষ প্রয়োজনে পুরুষ সঙ্গী ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হলে সেখানেই তাদের হত্যা করতো তালেবানরা। ২০০১ সালে দেশটিতে মার্কিন বাহিনীর হস্তক্ষেপে সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটে এবং ক্ষমতা থেকে তালেবানদের অপসারণ করা হয়।

হাঙ্গামা২৪/অভিরুপ
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url